বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা
আজকে আমরা জানবো বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে । খুব বিস্তারিত ভাবে আমরা বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি , যা থেকে আপনারা অনেক মূল্যবান তথ্য পাবেন ।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা । প্রথমে আমরা আলোচনা করবো বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে । বাদাম এর উপকারিতা বাদামের উপকারিতা ও কিসমিসের উপকারিতা
বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা । বাদামের উপকারিতা ও কিসমিসের উপকারিতা । বাদাম এর উপকারিতা
বাদামের উপকারিতা :
বাদাম হল বীজের ফার্নেল যা রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহত হয় বা নাস্তা হিসেবে নিজে নিজে খাওয়া হয় । বাদামে বেশী পরিমানে চর্বি ও ক্যালরি থাকে । বাদামের উপরে একটি শক্ত খোসা থাকে । এই খোসাকে ফেলে দেওয়া হয় । তবে আমাদের দেশে দোকান গুলোতে খোসা ছাড়া বাদাম কিনতে পাওয়া যায় । বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা
বাদামে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ । যা আমাদের শরীরের পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে । আমাদের দেশে অনেক রকমের বাদাম পাওয়া যায় । যেমন : কাজু বাদাম , পেস্তা বাদাম , আখরোট , চিনাবাদাম ইত্যাদি ।
বাদামে চর্বী বেশি তবে কার্বোহাইড্রেট কম । ভিটামিন ই , ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর বড় উৎস হল এই বাদাম । বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা
আমরা আজকে জানবো বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে । আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে ।
১। বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে :
যদিও বাদামকে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয় । তবে গবেষণায় জানা যায় যে , বাদাম আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করে । কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে পেস্তা বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে । যারা নিয়মিত বাদাম খান তাদের ওজন খুব দ্রুত কমে যায় ।
২। কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে পারে :
বাদাম মোট এবং খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে । আবার ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় । কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রায় বাদামের চিত্তাকর্ষক প্রভাব রয়েছে ।
যাদের ডায়বেটিস আছে তাদের মধ্যে পেস্তা ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে দেখা গেছে । আবার একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন আখরোট , চিনা বাদাম খায় তাদের কোলেস্টেরল উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায় ।
==========
===========
৩। টাইপ ২ ডায়বেটিস এবং মেটাবলিক সিনড্রোমের জন্য উপকারি :
টাইপ ২ ডায়বেটিস একটি সাধারন রোগ যা বিশ্বব্যাপী কয়েক মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করে । মেটাবলিক সিনড্রোম ও টাইপ ২ ডায়বেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বাদাম সেরা খাবারের একটি হতে পারে ।
বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশী বাড়ায় না । সুতরাং উচ্চ কার্বোহাইড্রেট খাবারের জন্য বাদাম খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় ।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বাদাম খাওয়া ডায়বেটিস ও বিপাকীয় সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস , রক্তচাপ এবং অন্যান্য সমস্যা কমাতে পারে ।
৪। প্রদাহ কমাতে পারে :
বাদামে শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে । প্রদাহ হল আপনার শরীরের আঘাত , ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য সম্ভাব্য ক্ষতিকারক প্যাথোজেন থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায় । একটি গবেষণায় দেখা যায় , বাদাম প্রবাহ কমাতে পারে । যেমন : ডায়াবেটিস , কিডনি রোগ এবং অন্যান্য মানুষের মধ্যে ।
৫। বাদাম প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে , যা রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে । আপনাকে পরিপূর্ণ রাখতে সাহায্য করতে পারে । ক্যালরি শোষণ বা হ্রাস করতে পারে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে ।
৬। বাদাম আপনার হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমাতে পারে । তাই , নিয়ম করে নিয়মিত বাদাম খাবেন ।
বাদামের উপকারিতা অনেক । এক এক বাদামের এক এক গুন । তাই শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বাদাম খাবেন ।
বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা
কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা :
এখন আমরা বিস্তারিত ভাবে জানবো কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে । কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে এখানে ক্লিক করুন ।
নিত্য নতুন টিপস পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং ফেসবুক পেজে এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন ।