কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
কালোজিরার অপকারিতার চেয়ে উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যায় না । আজকে আমরা জানবো কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ।
কালোজিরা একটি বীজ যা মানুষ ওষুধ হিসেবে এর তেল ব্যাবহার করে । তাছাড়া কালোজিরা চিবিয়েও খাওয়া হয় । ঐতিহাসিকভাবে কালোজিরা মাথা ব্যথা , দাঁতের ব্যথা , নাক বন্ধ ও অন্ত্রের কৃমির জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে ।
এখনকার সময়ে কালোজিরা ডায়রিয়া , আমাশয় , কোষ্টকাঠিন্য , হাঁপানি , অ্যালার্জি , কাশি ,ফ্লু ও শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসার জন্য ব্যাবহার করা হয় । কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
আরও আপনাদের উচ্চ রক্তচাপ , কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো , ক্যান্সারের চিকিৎসা ও মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কালোজিরা ব্যবহৃত হয় । তাছাড়া , কালোজিরা রান্নায়ও ব্যাবহার করা হয় ।
কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
এতে রান্নার সুগন্ধ আসে । কালোজিরার উপকারিতার শেষ নেই । তবে কালোজিরার কিছু অপকারিতাও আছে । তাই কিছুটা সাবধানতার দরকার আছে । কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকে আমরা জানবো কালোজিরার উপকারিতা ও কালোজিরার অপকারিতা সম্পর্কে । আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা । কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা :
প্রথমে আলোচনা করবো কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে । আর সাবধানতার জন্য এরপর জানবো কালো জিরার অপকারিতা সম্পর্কে । কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
কালোজিরার উপকারিতা :
কালোজিরার উপকারিতা অনেক বেশী যা আসলে বলে শেষ করা যায়না । চলুন ঝটপট দেখে নেই কালোজিরার উপকারিতা গুলো ।
১। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে :
কোলেস্টেরল একটি চর্বি জাতীয় পদার্থ যা আপনার সাড়া শরীরে পাওয়া যায় । যখন আপনার কিছু কোলেস্টেরল উচ্চ পরিমানে আপনার রক্তে জমা হতে পারে এবং আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে । কালোজিরা কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে ।
২। ক্যানসার যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য থাকে :
কালোজিরাতে প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে , যা ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেলগুলিকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে । যা ক্যান্সারের মতো রোগের পতন ঘটাতে পারে । কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা
একটি টেস্ট টিউব স্টাডিতে কালোজিরার সক্রিয় যৌগ এর সম্ভাব্য ক্যানসার বিরোধী প্রভাব সম্পর্কিত ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে । যেমন : কালোজিরা রক্তের ক্যানসার কোষে কোষের মৃত্যু ঘটায় ।
শুধু তাই নয় , আরও দেখা যায় যে , কালোজিরার উপাদানগুলো অগ্নাশয় , ফুসফুস , সারজিকাল , প্রোস্ট্রেট , ত্বক ও কোলন ক্যানসার সহ অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর হয় ।
৩। ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে :
কানের সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত বিপজ্জনক সংক্রমণের দীর্ঘ তালিকার জন্য রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দায়ী । কালজিয়ারায় এন্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে এবং এই কালোজিরা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে ।
ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে কালোজিরা ব্যবহার করা হয় এবং দেখা যায় যে এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহত একটি এন্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে ।
৪। প্রদাহ উপশম করতে পারে :
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে , প্রদাহ হলো একটি স্বাভাবিক ইমিউন প্রতিক্রিয়া যা শরীরকে আঘাত ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ।
অন্যদিকে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ক্যানসার , ডায়বেটিস ও হৃদরোগের মতে বিভিন্ন রোগে অবদান রাখে এই কালোজিরা ।
৫। কালোজিরা লিভারকে আঘাত ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে :
লিভার একটি অবিশ্বাস্য ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । এটি বিষ অপসারণ করে । ওষুধকে বিপাক করে । পুষ্টি প্রক্রিয়াজাত করে এবং প্রোটিন ও রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কালোজিরা লিভারকে আঘাত ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ।
৬। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে :
উচ্চ রক্তে শর্করার কারণে অনেক নেতিবাচক উপসর্গ দেখা দেয় । যার মধ্যে রয়েছে তৃষ্ণা বৃদ্ধি , অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস , ক্লান্তি ও মনোযোগ দিতে অসুবিধা ।
কালোজিরা রক্তে শর্করাকে স্থির রাখতে সাহায্য করে । এইভাবে এই বিপজ্জনক প্রতিকুল পাশ্বপ্রতিক্রিয়া গুলী প্রতিরোধ করতে পারে । যার কারণে রক্তে সুগারের পরিমান নিয়ন্ত্রণ থাকে ।
৭। পেটের আলসার প্রতিরোধ করতে পারে :
পাকস্থলীর আলসার হলো বেদনাদায়ক ঘা , যা পাকস্থলীর প্রতিরক্ষামূলক শ্লেমা স্তরে খেয়ে ফেললে তৈরি হয় ।
গবেষণায় দেখা যায় যে , কালোজিরা পেটের আস্তরণ রক্ষা করতে ও আলসার গঠন রোধ করতে সাহায্য করে ।
কালোজিরার অপকারিতা :
যদিও কালোজিরার উপকারিতা অনেক বেশী , তারপরেও কালোজিরার কিছু অপকারিতা আছে । চলুন ঝটপট দেখে নেই কালোজিরার অপকারিতা গুলো ।
১। কালোজিরা অল্প পরিমানে মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয় । বেশির ভাগ লোকের জন্য সম্ভবত নিরাপদ কালোজিরা তেল চিকিৎসার জন্য স্বল্পমেয়াদী ব্যাবহার করা হয় । কালোজিরা ত্বকে লাগলে অ্যালার্জিজনিত ফুস্কুড়ি হতে পারে । তাই সাবধানতা অবলম্বন করবেন ।
২। কালোজিরা রক্ত জমাট বাধা কমিয়ে দিতে পারে ও রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায় । তাই পরিমানের অতিরিক্ত কালোজিরা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন ।
৩। কালোজিরা রক্তে শর্করার পরিমান কমাতে পারে । তাই আপনার ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ম করে আপনার শরীরের শর্করা নিরীক্ষণ করবেন ।
এই গুলো হল কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা । এই কালোজিরা যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি কালোজিরার অপকারিতাও আছে । তাই সবকিছু পরিমান বুঝে ব্যবহার করতে হবে ।
নিত্য নতুন টিপস পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং ফেসবুক পেজে এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন ।