কি তেল দিলে চুল লম্বা হয় ও এর সঠিক ব্যবহার বিধি জেনে নেই
আজকে আমরা জানবো কি তেল দিলে চুল লম্বা হয় ও এর সঠিক ব্যবহার বিধি সম্পর্কে। প্রত্যেক মহিলা চায় তাদের চুল যেন ঘন ও লম্বা হয়। তাই আপনার চুল লম্বা করার জন্য ভালো যে কোনো তেল ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনার চুলের জন্য উপকারি।
চুলের স্বাস্থ্য বাড়াতে ও উন্নতিতে অনেক উপকারি তেল রয়েছে। যা আপনার মাথার ত্বকে ও চুলে ব্যবহার করার ফলে চুল স্বাস্থ্যকর, মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে থাকে। চুলের তেল শুধুমাত্র চুলের গুণমান উন্নত করে না, বরং আপনার চুলের ক্ষতি রোধ করে থাকে।
এ তেলগুলি লুব্রিকেন্ট হিসাবে কাজ করে থাকে , যা ভেজা চুলকে আলাদা করতে এবং চুলকে গিঁট দেওয়া রোধ করার জন্য দুর্দান্ত কাজ করে।
কি তেল দিলে চুল লম্বা হয়
এছাড়া ভালো তেলের ব্যবহার আপনার মাথার খুশকি দূর করে, চুল পড়া বন্ধ করে ও চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে রাখে, মাথার ত্বকে শুস্কতা দূর করে, চুলের গোড়া মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে, চুলে মসৃন ও উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুল দ্রুত লম্বা করতে সাহায্য করে থাকে।
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরে বানানো তেল ছাড়াও বাজারে অনেক ভালো ব্র্যান্ডের তেল রয়েছে, যার মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং প্রোটিন বিদ্যমান।যা আপনার মাথার ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারি। যা ব্যবহারে মাথার ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
এই সমস্ত কিছু মাথায় রেখে, এখানে কিছু ভালো তেলের নাম রয়েছে যা আপনি চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনি চুলের স্বাস্থ্য এবং চুলের বৃদ্ধি উভয়ই বাড়াতে চান। তাহলে এই তেলগুলো আপনার মাথায় প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। যা আপনার চুল লম্বা হতে সাহায্য করে থাকবে।
কি তেল দিলে চুল লম্বা হয় ও এর সঠিক ব্যবহার বিধি
তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই কি তেল দিলে চুল লম্বা হয় ও এর সঠিক ব্যবহার বিধি সম্পর্কে ।নিম্নে কিছু তেলের নাম দেওয়া হলো :
রোজমেরি তেল
রোজমেরি তেল ব্যবহারে মহিলাদের মাথার চুল দ্রুত লম্বা হয়। রোজমেরি তেলকে চুলে ব্যবহার করার জন্য সেরা তেল গুলির মধ্যে একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই তেলে রয়েছে ভিটামিন B৫, অ্যালো ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিড। যা আপনার মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে থাকে, চুল পড়া রোধ করে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক রেখে চুল লম্বা করতে সাহায্য করে থাকে।
আপনি যদি চুলের ঘনত্ব বাড়াতে এবং চুলের বৃদ্ধি উন্নত করতে চান, তাহলে রোজমেরি তেল ব্যবহার করুন। কারণ এই রোজমেরি তেল সেলুলার উন্নত করার একটি দুর্দান্ত উপাদান।
রোজমেরি তেল ব্যবহারের নিয়ম
অলিভ বা নারকেল তেলের সাথে কয়েক ফোঁটা রোজমেরি তেল মিশিয়ে আপনার মাথার ত্বকে ও চুলে লাগান। এবং ভালো ভাবে মাথায় ম্যাসেজ করুন।
এটি কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য আপনার মাথায় রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে আপনার মাথা ও চুল ধুয়ে ফেলুন। সেরা ফলাফলের জন্য সপ্তাহে এক /দুই বার এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টর অয়েল চুলের বৃদ্ধিতে অলৌকিকভাবে কাজ করে। এতে রিসিনোলিক অ্যাসিডের উচ্চ পরিমাণ রয়েছে যা মাথার ত্বকের ph ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং অবশেষে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এটির অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা আপনার মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন : চুল পড়া রোধ করে, খুশকি দূর করে, চুল মজবুত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে তোলে।
ক্যাস্টর অয়েল চুলের গভীরে প্রবেশ করে এবং ভেতর থেকে পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে থাকে। কারণ ক্যাস্টর অয়েল এমন একটি তেল যা চুলের ফলিকলের মধ্যে পুরো প্রবেশ করতে পারে।
ক্যাস্টর অয়েল আপনার মাথার ত্বকের স্ট্র্যান্ডগুলিকে আর্দ্রতা লক করতে এবং চুলের বৃদ্ধিকে উন্নত করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে অবশ্যই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
এটি ব্যবহারে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এটির মধ্যে যে উপাদান রয়েছে তা রক্ত প্রবাহ এবং সঞ্চালনে সহায়তা করে থাকে।
এর আশ্চর্যজনক ফলাফল সত্ত্বেও, ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এর ঘন সামঞ্জস্য এবং আঠালোতার কারণে, তৈলাক্ততা অপসারণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে এবং এটি থেকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ পেতে আমাদের ২- ৩ বার শ্যাম্পু করতে হতে পারে।
এছাড়া এটি একটি ভালো পণ্য এবং আপনার চুল বাড়াতে খুব দ্রুত কাজ করে থাকে।
ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
ক্যাস্টর অয়েল চুলে দেওয়ার আগে প্রথমে চুলকে একটু ভিজিয়ে নিন। যে কোনো ভালো অন্য তেলের সাথে ক্যাস্টর অয়েল মেশান। এটি আপনার মাথার ত্বকে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন।এটি আপনার চুলে ১ থেকে ২ ঘন্টা রেখে দিন।
এবং পরিশেষে শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
কুমড়া বীজ তেল
মহিলাদের মাথার চুল লম্বা করতে আরেকটি বিশেষ তেল হলো কুমড়া বীজ তেল। কুমড়ার বীজের তেল আপনার চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এই তেল ব্যবহারে আপনার চুল পড়া নিয়ন্ত্রন করা যায়। এই তেল চুল পড়ার সাথে যুক্ত মূল এনজাইম এবং হরমোনগুলিকে বাধা দিতে পারে।
এই তেল ব্যবহার আপনার চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে, এছাড়া আপনার মাথার খুশকি দূর করতে সহায়তা করে, আপনার মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, চুলকে মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে এবং চুলকে মসৃন উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে থাকে।
কুমড়ার বীজের তেলে চুলের জন্য ভালো কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যেমনঃ অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, ওলিক এবং লিনোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই। যা আপনার চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
কুমড়া বীজ তেল ব্যবহারের নিয়ম
এই তেল আপনার মাথায় ও চুলে ভালো করে ম্যাসেজ করুন। এবং ৩ থেকে ৪ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর চুল শ্যাম্পূ ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল লম্বা করার জন্য মাসে দুই /তিন বার কুমড়ার বীজ তেল ব্যবহার করতে পারেন।
জোজোবা চুলের তেল
মহিলাদের চুল লম্বা করার জন্য আরেকটি উপাদান হলো জোজোবা তেল। জোজোবা তেল ব্যবহারে মহিলাদের চুল লম্বা হয়। শুষ্ক চুলের জন্য জোজোবা তেল অনেক উপকারী ।
জোজোবা তেল এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, কপার এবং জিঙ্ক এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা চুলকে পুষ্টিকর করে তোলে। যা ব্যবহার করার কারনে আপনার চুল লম্বা হতে সহায়তা করে থাকে।
যদি আপনার মাথার ত্বক বিশেষভাবে শুষ্ক অনুভূত হয়, আপনি এই তেলটি প্রি-ওয়াশ ট্রিটমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, আপনি সরাসরি চুলের গোড়ায় ড্রপ ম্যাসেজ করতে পারেন। এতে আপনার মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সাথে চুল লম্বা হতে সাহায্য করে থাকবে।
এই তেলের নিয়মিত ব্যবহার চুলকে মসৃন এবং কোঁকড়া মুক্ত করে তোলে। জোজোবা তেল নতুন চুলের কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এটি খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে এবং চুলের ভাঙ্গন ও চুল পড়া রোধ করে থাকে।
জোজোবা চুলের তেল ব্যবহারের নিয়ম
জোজোবা তেলটি আপনি হেয়ার মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার চুল লম্বা করার জন্য অন্য কোনো ভালো তেলের সাথে জোজোবা তেলটি মিক্স করে মাথায় ও চুলে লাগান এবং আলতো ভাবে ম্যাসেজ করুন।
এরপর ৩ থেকে ৪ ঘন্টা রেখে তা শ্যাম্পূ ও পানি দিয়া ধুঁয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহ এক/দুই বার ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রিন টি অয়েল বা সবুজ চা তেল
গ্রিন টি অয়েল বা সবুজ চা তেল ব্যবহারে চুল লম্বা ও বৃদ্ধি করা যায়। গ্রিন টি অয়েল, যা ক্যামেলিয়া তেল বা চা বীজের তেল নামেও পরিচিত। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ বলে পরিচিত যা ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (ডিটিএইচ) কমাতে সাহায্য করে, একটি হরমোন যা আপনার চুলের ফলিকলকে সঙ্কুচিত করতে পারে।
এটি খুশকি দূর এবং মাথার ত্বকের গঠন ঠিক করতে পারে, যা স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়।
গ্রিন টি অয়েল ব্যবহারের একটি বিশাল সুবিধা হল যে এটি কম চর্বিযুক্ত এবং দ্রুত মাথার ত্বকে শোষণ করতে পারে, যা তেলটিকে ব্যবহারের জন্য আদর্শ করে তোলে।
গ্রিন টি অয়েল বা সবুজ চা তেলে আরো রয়েছে শক্তিশালী ক্লিনজিং, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা ব্যবহার করা হলে চুলের বৃদ্ধি পায়।
গ্রিন টি অয়েল বা সবুজ চা তেল ব্যবহারের নিয়ম
আপনি আপনার শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারে ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা গ্রিন টি অয়েল বা সবুজ চা তেলটি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে প্রতিদিন বা সপ্তাহে ৩/৪ দিন ব্যবহার করতে পারেন।
অথবা, আপনি ২/৩ টেবিল চামচ ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে ৩/৪ ফোঁটা মেশাতে পারেন এবং মাথায় ও চুলে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। পরিশেষে শ্যাম্পূ ও পানি দিয়ে মাথা ও চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহারে আপনার চুল অনেকাংশে লম্বা হতে সাহায্য করে থাকবে।
বাদাম তেল
মহিলাদের মাথার চুল লম্বা ও বৃদ্ধি করার আরেকটি উপাদান হলো বাদাম তেল। বাদাম তেল অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। বাদাম তেল আপনার চুলে ব্যবহারের ফলে চুল পড়া রোধ হয়। এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে।
সেই সাথে মাথার খুশকি দূর করে, চুলকে মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে। এটি চুলকে মসৃন ও উজ্জ্বল করে তোলে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক রেখে চুল লম্বা করতে সাহায্য করে থাকে।
বাদাম তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, প্রোটিন, ওমেগা ৩ এবং ৬, ফ্যাটি অ্যাসিড। বাদাম তেল আপনার চুলের পুষ্টি যোগায় এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য সত্যিই ভালো কাজ করে থাকে।
এটি চুলের গভীরে প্রবেশ করে তাদের ভেতর থেকে মেরামত করে থাকে। বাদাম তেল ব্যবহার করার আরও একটি সুবিধা হলো এটি তুলনামূলকভাবে হালকা এবং মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত।
বাদাম তেল ব্যবহারের নিয়ম
একটি প্যানে বা পাত্রে কিছু বাদাম তেল হালকা গরম করুন। এটি আপনার মাথার ত্বকে ও চুলে ভালো করে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। আপনার মাথাসহ সম্পূর্ণ চুলে একটি তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন কয়েক ঘন্টার জন্য।
আপনি চাইলে তা সারারাত বাদাম তেল মাথায় ও চুলে দিয়ে রাখতে পারেন বা চার/পাঁচ ঘন্টাই যথেষ্ট। তারপর আপনি স্বাভাবিক শ্যাম্পু ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। চুল তাড়াতাড়ি লম্বা করার জন্য সপ্তাহে দুই /তিন বার বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।
আয়ুর্বেদিক তেল
বাজারে অনেক আয়ুর্বেদিক তেল পাওয়া যায় যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি সেগুলি বাজার থেকে কিনতে পারেন এবং দেখতে পারেন কোন ব্র্যান্ড আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
এগুলি বিভিন্ন ভেষজ এবং প্রাকৃতিক উপাদানের মিশ্রণ যা চুলের বৃদ্ধিতে বা লম্বা হতে সহায়তা করে। তবে আপনি যদি বাজারের পণ্য কেনার বিষয়ে সন্দিহান হন তবে আপনি আপনার বাড়িতে একটি ভাল আয়ুর্বেদিক তেল তৈরি করতে পারেন।
আয়ুর্বেদিক তেল তৈরিতে যে সব প্রয়োজনীয় উপাদান লাগবে। তা হলো :
১) মেথি বীজ – ১ টেবিল চামচ
২) আমলকি বা আমলা – ২টি
৩) কারি পাতা – ১৫-২০ টি
৪) নারকেল তেল – ২ কাপ
আমলকি কে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে কারি পাতার সাথে ২ দিনের জন্য সূর্যের আলোতে রেখে দিন যাতে সমস্ত আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়। আমলকি, মেথি বীজ এবং কারি পাতা মিহি গুঁড়ো করে নিন।
একটি প্যানে নারকেল তেল গরম করুন, যতক্ষণ না এটি ধুঁয়াতে পরিণত হওয়া শুরু করে। এরপর তৈরী করে রাখা গুঁড়ো গুলো তেলে যোগ করুন। ১০ মিনিটের জন্য কম আঁচে নাড়তে থাকুন।
তারপর তা চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেকে নিয়ে কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। সপ্তাহে একবার এই তেলটি নিয়মিত ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং আপনি আপনার চুলের গঠনে বিশাল পার্থক্য লক্ষ্য করবেন এবং চুলের দৈর্ঘ্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
লম্বা চুল গজাতে অনেক সময় এবং ধৈর্য লাগে। তাই আপনিও যদি আপনার চুল লম্বা এবং স্বাস্থ্যকর করতে চান তবে আপনাকে নিয়মিত তেল লাগাতে হবে, স্বাস্থ্যকর ডায়েট বজায় রাখতে হবে এবং সঠিকভাবে চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে।
এর ফলে লম্বা, মসৃন, উজ্জ্বল, চকচকে, মজবুত ও শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যকর চুল হবে যা আপনি গর্বিতভাবে প্রকাশ করবেন।
তাহলে আমরা এতক্ষণ জানলাম কি তেল দিলে চুল লম্বা হয় ও এর সঠিক ব্যবহার বিধি সম্পর্কে। আশা করি আমরা আপনাদেরকে কি তেল দিলে চুল লম্বা হয় ও এর সঠিক ব্যবহার বিধি সম্পর্কে বিস্তারিত ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পেরেছি ।
আরও নিত্য নতুন টিপস পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং ফেসবুক পেজে এ লাইক দিয়ে সাথে থাকুন ।